বৃহস্পতিবার | ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম

প্রধানমন্ত্রী বাঁদর নাচ দেখিয়ে দিলেন: ডা. জাফরুল্লাহ

প্রকাশিত : জানুয়ারি ১৯, ২০২২




জার্নাল ডেস্ক ॥ নির্বাচন কমিশন গঠন আইন প্রণয়নের সমালোচনা করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, আগের দিন পর্যন্ত আইনমন্ত্রী বললেন, সময়ের অভাবে করা যাবে না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী খেলা দেখিয়ে দিলেন, বাঁদর নাচ দেখিয়ে দিলেন। পরদিন মন্ত্রীপরিষদে আইনের খসড়া পাস করিয়ে দেওয়া হলো। এখনো তা জনগণকে জানানো হলো না।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠন আইন প্রণয়নের নামে সরকার যেটা করতে যাচ্ছে তা দেখে মনে হচ্ছে আগামী নির্বাচনেও একটা প্রহসনের খেলা হবে।

বুধবার (১৯ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘মাদকের ভয়াবহতা রোধে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে এসব কথা বলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

তিনি বলেন, প্রস্তাবিত আইনেও সরকারি কর্মকর্তাদের সব ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে। সার্চ কমিটিতে জজ সাহেবদের রাখা বলা হয়েছে। যারা নিজেরাই ফাঁকিবাজ।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সরকার ডোপ টেস্টে অনেক উৎসাহী। কিন্তু কতজনকে ডোপ টেস্ট করাবেন। সবগুলোতে সরকারের ভুল নীতি। সরকার তো জনগণের প্রতিনিধি না। সরকার তো নির্বাচিত সরকার না। সরকার হলো ডাকাতির সরকার।

আমলাতন্ত্রের আধিপত্য নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, মাদকাসক্তির দ্বায়িত্ব দেওয়া হয় এমন ব্যক্তিদের যারা আগে এসব জায়গা কাজ করেনি। সাইকাস্টিক, সাইকোলজি কিংবা ডাক্তারি কোনো জ্ঞান নেই। উনাদের একমাত্র কোয়ালিফিকেশন আমলা। ঠিক একই ভাবে যে নির্বাচন কমিশন হবে সেখানেও আমলার প্রাধান্য। আপনারা যদি খেয়াল করে থাকেন ডিসি সাহেবেরা ২৬৬টা দাবি করেছিলেন, তাদেরকে সব ক্ষমতা দেওয়া হোক। জনগণের মতামত দরকার নেই, তাদেরই ক্ষমতা দেওয়া হোক।

মাদকের বিষয়ে জিরো ট্রোলারেন্স শুধু মাত্র লোক দেখানো মন্তব্য করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, সকারের মাদকের বিষয়ে জিরো ট্রোলারেন্স শুধু মাত্র প্রচারের জন্য। তুমি যা পারো করতে থাকো। আমি লুট করেছি রাতের বেলার ভোট, তুমি লুট করো মাদক।

তিনি আরো বলেন, এই মাদকাসক্তির বিস্তার ঘটার জন্য সরকার দায়ী। তার চিকিৎসা না হবার জন্যও সরকার দায়ী। আজকে অনৈতিক বিশৃঙ্গলার জন্য সরকার দায়ী। আমলাদের হাতে দেশ চলতে পারে না। জনপ্রতিনিধিদের হাতে দেশ চলবে। জনপ্রতিনিধিদের মাদক নির্মূলের দ্বায়িত্ব নিতে হবে। সিগারেট বন্ধ করে মাদক নির্মূলের অভিযান শুরু করার আহ্বান জানান তিনি।

এন্টি ড্রাগ সোসাইটির সভাপতি আশ্রাফুর রহমান ফারুকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মানবাধিকার ফেডারেশনের মহাসচিব ড. ফরিদ উদ্দিন ফরিদ এফবিসিসিআই’র সাবেক পরিচালক মো. আফজাল হোসেন, আমেরিকার ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শাখাওয়াত হোসেন আজম, ডিইউজের সহ-সভাপতি বাছির জামাল, বাংলাদেশ গ্রাম ডাক্তার কল্যাণ সমিতির মহাসচিব আবু ইউসুফ বাদল, জাতীয় তরুণ সংঘের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফজলুল হক, বাংলাভিশনের বার্তা সম্পাদক বদরুল আলম নাবিল, বিবেকের চেয়ারম্যান ইউসুফ মোল্লা টিপু, বাংলাদেশ রোগী কল্যাণ সোসাইটির মহাসচিব ডাক্তার আবুল কাওসার, গণস্বাস্থ্যের প্রেস এডভাইজার জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের সভাপতি কালাম ফয়েজী প্রমুখ।

আজকের সর্বশেষ সব খবর